বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাসহ স্ত্রী সহবাসের সুন্নত তরিকা সুসন্তান জন্মদানের দোয়া ও আমল

আসসালামু আলাইকুম। 

সহবাস হচ্ছে একজন নারী এবং পুরুষের দৈহিক মিলনের একমাত্র বৈধ পন্থা। এটি সন্তান জন্মদানের একমাত্র পদ্ধতি। কিন্তু আপনি কি জানেন এর সুন্নত তরিকা কি? কখন কিভাবে সহবাস করাকে ইসলাম সমর্থন করে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে কিভাবে সহবাস করতে হয়? সহবাসের কোন ভুলের জন্য সন্তান বিকলাঙ্গ হতে পারে? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের লেখাটি আপনার জন্য। দয়াকরে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

ইসলামে মিলনের নিষিদ্ধ সময় দাড়িয়ে সহবাস করা যাবে কি দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় সহবাসের সময় স্ত্রী উপরে থাকলে কি হয় স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম পুরুষ পুরুষ মিলন করলে কি হয় সহবাসের নিষিদ্ধ পদ্ধতি ইসলামে সহবাসের নিয়ম পদফ দাসী হালাল ইসলামে দাসী কারা। অধিক সময় সহবাস করার মন্ত্র ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় কোনটি কোন কোন দিন সহবাস করা ভাল সহবাসের নিরাপদ সময় কোনটি ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন ইসলামে সহবাসের পজিশন ইসলামে স্বামী স্ত্রী ঘুমানোর নিয়ম ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি কখন মিলন করলে পুত্র সন্তান হয় কখন সহবাস করলে বাবু হয় কখন সহবাস করলে মেয়েরা বেশি তৃপ্তি পায কি খেলে 30 মিনিট সহবাস করা যায় কিভাবে সহবাস করলে সন্তান হয় কিভাবে স্ত্রীকে উত্তেজিত করা যায় গর্ভবতী না হওয়ার উপায় গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার দিনে কতবার মিলন করা যায় দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি প্রথম মিলনে ব্যথা প্রথম মিলনে রক্তক্ষরন প্রথম মিলনের নিয়ম প্রথম সহবাসের নিয়ম প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাস বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। বিভিন্ন আসনের ছবি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক ভোরে সহবাসের উপকারিতা মাসিক কত দিন হয় মাসিকের কত দিন পর ডিম্বপাত হয় মাসিকের সময় সহবাস করলে কি গর্ভবতী হয় মিলন করার নিয়ম মিলনের নিয়ম রাতে সহবাস লজ্জাস্থানে মুখ  সন্তান না হওয়ার পদ্ধতি সহবাস করার ইসলামিক পদ্ধতি, সহবাস করার উপায়, সহবাস করার দোয়া সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি, সহবাস করার সঠিক সময় কোনটি সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, সহবাসের কতদিন পর সন্তান হয় সহবাসের পর কি খাওয়া যায়, সহবাসের পর যা খাবেন, স্ত্রী যদি স্বামীর উপরে উঠে করে, স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, স্বামী স্ত্রী সহবাস করার সময় কিছু নিয়ম কানুন, স্বামীকে আদর করার পদ্ধতি esojani.com এসোজানি
 সহবাসের সুন্নত তরিকা


সহবাসের উপকারিতা বা ফজিলত

নিয়মিত যৌন মিলনের উপকারিতা/ফজিলত অনেক। এটিকে ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক উভয় প্রকারেই ব্যাখ্যা করা যায়। ধর্মীয়ভাবে এর গুরুত্ব অনেক। যেমন নিয়মিত বৈধ স্ত্রী সহবাসের মাধ্যমে নজর হেফাজত হয়, লাজ্জাস্থানের সংবরণ হয়, ইমানি জজবা বজায় থাকে, নেক সন্তানের জন্ম হয় ইত্যাদি।  সর্বোপরি এটি সদকাসূলভ বরকতময় কাজগুলোর একটি এবং সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত বিধান ও রাসুল সাঃ এর পবিত্র সুন্নাহ।

আবার বৈজ্ঞানিকভাবে এর মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। যেমন স্ত্রী সহবাসের সময় অর্গাজম বা বীর্যপাতের ফলে অক্সিটোসিন নামক হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এই অক্সিটোসিন হরমোন আমাদের শরীরে প্রেম ভালবাসার অনুভূতি সৃষ্টি করে মনের সজীবতা আনে। একে ভালবাসার হরমোন বা লাভ হরমোন বলা হয়। নিয়মিত যৌন মিলনের ফলে শরীরে এণ্ডোরফিন্স হরমোনের ক্ষরণ হয় যা আমাদের শরীরের ব্যাথা কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সহবাসের ফলে IgA এন্টিবডিসহ নানা ধরণের এন্টিবডি উৎপন্ন হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও স্ত্রী সহবাসের ফলে শান্তিপূর্ণ ঘুম হয়, মানুষিক দুশ্চিন্তার লাঘব হয় বলে শারীরিক ও মানুসিক কর্ম ক্ষমতা বেড়ে যায়।

তবে অবৈধ মেলামাশায় মানুষিক স্ট্রেসের কারণে এসব হরমোন নির্গত হয়না বরং যৌনজীবনে যারপরনাই ক্ষতি হয়ে থাকে।


রাসুলুল্লাহ কিভাবে সহবাস করতেন

দয়াল নবী সাঃ কিভাবে সহবাস করতেন তা জানার জন্য সহবাসের সুন্নত তরিকা সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা রাসুল সাঃ এর কথা, কাজ ও অনুমোদনই হলো সুন্নাহ। স্থান-কাল-পাত্রভেদে বিভিন্ন সময় স্ত্রী সহবাসের বা স্বামী সহবাসের বিভিন্ন হাদিস এসেছে, যেগুলো থেকে আমরা স্বামী স্ত্রীর যৌন মিলনের সুন্নত তরিকা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারি।


সহবাসের সুন্নতি ত্বরিকা(স্টেপ বাই স্টেপ)

১/ সহবসের প্রস্তুতি 

মিলনের পূর্বে পরিপাটি পোশাক পরিধান করা শ্রেয় এতে উত্তম রুচিবোধ জাগ্রত হয়। এবং সাধ্যমত সুগন্ধি ব্যবহার করা এতে মন প্রফুল্ল হয় ও একে অপরের প্রতি আকর্ষণবোধ সৃষ্টি হয়।  স্বামী বা স্ত্রী যেকেউ সহবাসের ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে একে অপরের নিকট উপস্থিত হয়ে সালাম বিনিময় করতে পারেন। কেননা  সালাম দিলে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার জন্ম হয়। এব্যাপারে আবু দাউদ শরীফের ২৪৯৪ নং হাদিস উল্লেখ করা যায়-

দয়াল নবী রাসুলে পাক (সা:) ইরশাদ করেন- তিন ব্যাক্তি আল্লাহর জিম্মায় থাকে। যদি তারা জীবিত থাকে তাহলে রিজিকপ্রাপ্ত হয় এবং তা যতেষ্ট পরিমানে হয়। আর যদি মৃত্যু বরণ করে তবে তারা জান্নাতি হয়।

এক: যে ব্যাক্তি বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়িতে উপবিষ্ট ব্যাক্তিকে সালাম প্রদান করে সে আল্লাহর জিম্মায়।

দুই: যে ব্যাক্তি মসজিদের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে আল্লাহর জিম্মায়।

তিন: যে ব্যাক্তি আল্লাহর রাস্তায় বের হয় সে আল্লাহর জিম্মায়। (আল হাদিস)।

অত:পর স্ত্রীর সাথে গল্প গুজব করা। এতে স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক বন্ধন সুদৃঢ় হয় এবং সুন্নাও বটে। আম্মাজান হযরত আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলে পাক (সা:) যখন ফজরের সুন্নত সালাত আদায় করতেন তখন আমি জাগ্রত হলে তিনি আমার সাথে গল্পগুজব করতেন। অন্যতায় তিনি শয্যাগ্রহণ করতেন এবং ফজরের সালাতের জন্য মুয়াজ্জিন না ডাকা পর্যন্ত শুয়ে বিশ্রাম নিতেন। (সহিহ বুখারি; ১১৬১)।

অপরদিকে বিজ্ঞান এব্যাপারগুলোকে চমৎকারভাবে তুলে ধরেছে। আধুনিক বিজ্ঞান বলছে সুন্দর পরিপাটি পোশাক পরিধান, সুগন্ধি ব্যবহার এবং পারস্পারিক গল্পগুজব আমাদের মস্তিষ্কের কিসপেপটিন নামক হরমোন নি:সরণ ত্বরান্বিত করে। এই হরমোন একে অপরকে বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ করতে সাহায্য করে। নারী পুরুষের যৌনাচরণ কেমন হবে তা নির্ধারণ করে। এমনকি সাইকোসেক্সোয়াল ডিসঅর্ডার রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের চিকিৎসায় এই হরমোন ব্যাবহৃত হয়।

২/ সহবাসের দোয়া

সহবাসের শুরুতে সহবাসের দোয়া পাঠ করা সুন্নত।

 عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَتَى أَهْلَهُ قَالَ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا‏.‏ فَقُضِيَ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ، لَمْ يَضُرَّهُ بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا‏ 

হযরত ইব্‌নে ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন তার স্ত্রীর সাথে মিলন করবে তখন সে যেন মিলনের পূর্বে বলে, بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا‏‏ (আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখো এবং যা আমাদেরকে দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখো)- তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোন সন্তান থাকলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।(সহিহ বুখারী; ১৪১)।

৩/ যৌনাসন বা সেক্স পজিশন 

নিয়তের পর যে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো স্ত্রীর যৌনাসন। অর্থাৎ কোন পজিশনে সহবাস করবেন। এ ব্যাপারে পবিত্র কালামে পাকে ঘোষণা এসেছে এভাবে- তোমাদের স্ত্রীরা হচ্ছে তোমাদের জন্য শস্যক্ষেতস্বরূপ। অতএব তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেতে যেভাবে ইচ্ছা গমন করতে পারো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২২৩)

উক্ত আয়াতের তরজমা করতে গিয়ে রাসুল সাঃ বলেন- না, শুধুমাত্র একই রাস্তায় সহবাস করা যাবে। (মুসনাদে আহমাদ, ৭/৬১)

অন্য হাদিসে এসেছে- স্ত্রীর কাছে এসো সামনে বা পিছন দিয়ে যদি তা লজ্জাস্থান হয়।(তাবরানি, কাবির ৭/৬২)।

কোরআন হাদিসের আলোকে একথা স্পষ্ট যে, শুয়ে, বসে, দাঁড়িয়ে যেকোন আসনেই সহবাস করা যাবে তবে তা হতে হবে লজ্জাস্থান বা যৌনাঙ্গ দিয়ে। তবে পায়ুপথের সঙ্গম ইসলাম সমর্থন করে কি না জানতে পড়া চালিয়ে যান...

এবার চলুন যৌনাসন নিয়ে বিজ্ঞান কি বলে। আমাদের শরীরে যৌনাঙ্গ থাকলেও কোন থলি নেই। তাই আমাদের যে বীর্যপাত হয় তা কেবল হরমোনের প্রভাব। হরমোন নিসৃত হয় সেন্সেশন থেকে। এ জন্য আধুনিক বিজ্ঞানীরা ফোরপ্লে-এর উপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করেছেন। পছন্দসই যৌনাসনে সেক্স হরমোন তথা টেস্টস্টেরন, এস্ট্রোজেন কিংবা প্রোজেস্টেরন নি:সরণ সহজ হয়। সঠিক অর্গাজম হয়। একটা মানুষ তার পরিপূর্ণ যৌন তৃপ্তি লাভ করে। তাই সহবাসের আগে নারী পুরুষ একে অপরের সাথে উত্তম যৌনাসন নিয়ে কথা বলবেন। যে আসনে উভয়েই সাচ্ছন্দবোধ করবেন সেই আসনেই সেক্স করুন।

৪/ চুম্বন বা আলিঙ্গন করা

সহবাসের সময় শৃঙ্গার বা চুম্বন, মর্দন, আলিঙ্গন ইত্যাদি করতে ইসলামি শরিয়তে কোন নিষেধ নেই। বরং পার্টনারকে যথাযত উত্তেজিত করতে এবং চরম যৌনসুখ উপভোগ করতে এগুলোর বিকল্প নেই। রাসুল সাঃ নিজেও উনার স্ত্রীদের সাথে এসব করতেন। হাদিসে এসেছে- রাসুলুল্লাহ সাঃ উনার স্ত্রীদের সাথে  আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন (যাদুল মাআদ ৪/২৫৩)। তবে স্তন বা যৌনাঙ্গ চোষা যাবে কি না তা জানতে পড়া চালিয়ে যান...

আবার বিজ্ঞান বলছে ফোরপ্লে করলে দ্রুত অক্সিটোসিন হরমোন নি:সৃত হয় এবং যথাসময়ে অর্গাজমের ফলে নারী-পুরুষ উভয়েই চরম যৌনসুখ লাভ করতে সক্ষম হয়। বিশেষ করে স্ত্রীরা। তাই স্বমীর উচিত সেক্স করার আগে ভাল করে ফোরপ্লে করা এবং স্ত্রীর উচিত তাতে স্বামীকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা।

৫/ একসাথে একাধিকবার যৌন মিলনের নিয়ম

চাইলে আপনি একদিনে বা একরাতে একাধিকবার যৌন মিলন করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু বিধিনিষেধ মানতে হবে। যেমন: আপনি যদি একরাতে বা একদিনে একাধিকবার মিলিত হতে চান তবে প্রতিবার সহবাসের পর লজ্জাস্থান ধুয়ে অযু (সম্ভব হলে গোসল) করে নিতে হবে।  হাদিস শরীফে এসেছে, দয়াল নবী সাঃ বলেন- যখন তোমাদের কেউ নিজ স্ত্রীর সাথে একবার সহবাস করার পর আবার সহবাস করতে চায় সে যেন অযু করে নেয়। কেননা তা দ্বিতীয়বারের জন্য অধিক প্রশান্তিদায়ক (সহিহ মুসলিম, ৩০৮)।

তবে গোসল করে নেওয়া উত্তম। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন-  এরুপ করা অধিকতর পবিত্র, উত্তম ও উৎকৃষ্ট। (আবু দাউদ, ২১৯)।


৬/ যৌন মিলনের পর পবিত্রতা 

যেসব কারণে গোসল ফরজ হয় যৌন মিলন তারমধ্যে একটি। এজন্য সহবাসের পর পবিত্র হতে সটিকভাবে ফরজ গোসল আদায় করতে হবে। মনে রাখতে হবে ইসলাম হুকুমের ধর্ম। কোনক্রমে নিয়মমত পবিত্রতা অর্জন না করলে হাজার বালতি পানি ঢেলেও পবিত্র হওয়া যায় না। 

এজন্য পড়ুন-

আল্লাহর রাসুল সাঃ যেভাবে ফরজ গোসল করতেন। ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম

 

৭/ স্তন বা যৌনাঙ্গ দেখা, মর্দন ও চোষা যাবে কি না

স্বামী স্ত্রী একে অপরের যৌনাঙ্গ দেখা ও স্পর্শ করা জায়েজ। চাইলে কেউ তা করতে পারে। হাদিসে এসেছে- 

বাহয বিন হাকীম তিনি তাঁর পিতা থেকে এবং তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন। একদিন তিনি আরজ করলেন, 'হে আল্লাহর নবী সাঃ ! আমরা কি আমাদের গোপনাঙ্গ গোপন করব? আর কী বর্জন করব?' দয়াল নবী সাঃ  বললেন 'তুমি তোমার স্ত্রী ও ক্রীতদাসী ছাড়া অন্যের নিকটে গোপনাঙ্গের হেফাযত কর।' সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, 'ওগো নবী সাঃ ! লোকেরা আপোসে এক জায়গায় থাকলে?' রাসুল সাঃ  বললেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করবে, কেউ যেন কোনভাবেই তা দেখতে না পায়।' সাহাবী পুনরায় জিজ্ঞেস করলেন 'হে আল্লাহর রসূল! কেউ যদি নির্জনে অবস্থান করে?' রাসুলুল্লাহ সাঃ  বললেন, 'মানুষ অপেক্ষা আল্লাহ এর বেশী হকদার যে, তাঁকে লজ্জা করা। (আবূ দাঊদ ৪০১৯, তিরমিযী ২৭৯৪)

 উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত মুহাদ্দিস হযরত হাফেয ইবনে হাজর আসকালানী (রহ.) বলেন- যেহেতু রাসুলুল্লাহ তুমি তোমার স্ত্রী ব্যতীত শব্দদ্বয় উল্লেখ করেছেন এর দ্বারা বুঝা যায় স্বামী স্ত্রী একে অপরের যৌনাঙ্গের দিকে তাকানো জায়েজ। ফাতহুল বারী ১/৩৮৬। 

ইবনে কুদামা আল মাকদেসী রহ. বলেন-

এবং স্বামী/স্ত্রীর প্রত্যেকের জন্য তার সঙ্গীর পুরো শরীরের দিকে তাকানো বৈধ: এবং তাকে স্পর্শ করা, এমনকি যৌনাঙ্গেও। আর গোপনাঙ্গকে উপভোগ করা তার জন্য জায়েজ হওয়ার কারণে: শরীরের অন্যান্য অংশের মতো তা দেখা এবং স্পর্শ করাও জায়েজ। (আল মুগনী 9/99)

কিন্তু প্রশ্ন হলো স্বামী স্ত্রীর স্তনে এবং একে অপরের যৌনাঙ্গে মুখ লাগাতে পারবে কি না? এ ব্যাপারে ফকিহগণের মত হলো এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তবে সরাসরি হারাম একথা কোথাও বলা নেই। তাই না লাগানোই উত্তম। কেননা স্তন চুষতে গেলে স্ত্রী দুগ্ধ স্বামীর  পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে যা হারাম। আর এমনটি হলে স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে। অন্যদিকে যোনি বা লিঙ্গ দিয়ে নাপাকি বের হয়। মুখ হচ্ছে শরীরের সবচেয়ে পবিত্রতম স্থান। মুখ দিয়ে আল্লাহর জিকির হয়, কোরআন তেলাওয়াত হয়। অপরদিকে যৌনাঙ্গ হচ্ছে সবচেয়ে অপবিত্রতম। এই দুটিকে একত্রিত করা একজন সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না। বরং পশুত্বের পরিচয়।

বিজ্ঞান বলছে মেয়েদের যোনিপথে এবং জরায়ুতে ক্যানডিডা অ্যালবিক্যানস নামক ইস্টের উপস্তিতির কারণে ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হয়ে থাকে। যাকে মেডিক্যাল এর ভাষায় বলে ভ্যাজাইনাল ক্যানডিডিয়াসিস। আবার নারীদের যৌনাঙ্গে নানারকম ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। এসব ব্যাকটেরিয়ার কারণে ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিস নামক রোগ হয়ে থাকে। তাই যোনিতে মুখ লাগানো অসুস্থ মস্তিষ্কের বহিঃপ্রকাশ। 


৮/ কখন কিভাবে সহবাস করা হারাম

ইসলামি শরিয়তের বিধান মতে এমন কিছু নিষিদ্ধ সময় রয়েছে যখন সহবাস বা যৌন মিলন করা হারাম। যেমন:-

 ১/ মহিলাদের হায়েজ বা মাসিকের দিনগুলোতে

মহিলাদের মাসিক চলা অবস্থায় সহবাস করা হারাম। এ ব্যাপারে পবিত্র কালামে ইরশাদ হয়েছে - ‎‫وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ‬‎ ‎‫فِي الْمَحِيضِ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهُرْنَ‬‎ ‎‫فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللَّهُ‬‎

আর তারা যখন আপনাকে ঋতুস্রাব সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলেন,  তা কষ্টের বিষয়  এবং অশুচি। সুতরাং তোমরা মাসিক চলাকালে স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক এবং তারা তা থেকে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হওয়া থেকে বিরত থাক। তারপর যখন তারা পবিত্র হবে তখন তাদের কাছে আসবে ঠিক যেমন করে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন। (সুরা বাকারা আয়াত ২২২)।

এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন - যে ব্যাক্তি মাসিক অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করল, অথবা স্ত্রীর পায়ুপথে সঙ্গম করল, অথবা গণকের নিকট গেল এবং সে যা বলল তা বিশ্বাস করল সে অবশ্যই রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর নাযিলকৃত জিনিসের(অর্থাৎ আল্লাহ প্রদত্ত কিতাবের) বিরুদ্ধাচারণ করল।) তিরমিজি :১৩৫, আবু দাউদ: ৩৯০৪)।

বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে যে, মাসিক অবস্থায় মেয়েদের জরায়ু থেকে যে স্রাব বা রক্ত প্রবাহ আসে, তাতে থাকে বিভিন্ন ধরণের বিষাক্ত যৌগ। তাই ঐ সময় যৌন মিলন করলে পুরুষদের সিফিলিস, গোনোরিয়া, লিঙ্গ ছোট হয়ে যাওয়া, লিঙ্গ বিকৃতিসহ নানারকম যৌনবাহিত রোগ হয়ে থাকে। 

২/ নেফাস বা প্রসব পরবর্তী ৪০ দিন।

সন্তান জন্মদানের পর হোক সেটা সিজারিয়ান কিংবা নরমাল ডেলিভারি কমপক্ষে ৪০ দিন সহবাস করা হারাম। 

৩/ রোজা অবস্থায়।

রোজা অবস্থায় সহবাস করা ইসলামে নিষেধ। কেননা এতে রোজা নষ্ট হয়ে যায়। এবং রোজার কাফফারা অত্যাবশ্যক হয়ে যায়। 

এ ব্যাপারে আরও জানতে পড়ুন- 

রোজায় স্ত্রী সহবাসের সুন্নতি তরিকা

৪/ হজ্বের ইহরাম বাধা অবস্থায়।

হজ্ব বা উমরাহ পালনের সময় ইহরাম বাধা অবস্থায় সহবাস বা যৌন মিলন করাকে ইসলাম নিষেধ করেছে।

৫/ মসজিদে অবস্থানরত অবস্থায় বা ইতেকাফ অবস্থায়

মসজিদে অবস্থানরত অবস্থায় তথা এতেকাফ অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম। এ ব্যাপারে মহান রবের ঘোষনা হচ্ছে যে- আর তোমরা মাসজিদে এতেকাফরত অবস্থায় স্ত্রীদের সাথে মিলিত হয়ো না। এটা আল্লাহর সীমারেখা, সুতরাং তোমরা তার নিকটবর্তী হয়ো না। (সুরা বাকারা : ১৮৭)।

এছাড়া অমাবস্যা, পুর্ণিমা, শবে কদর, শবে বরাত, ঈদেরদিনসহ যেকোন দিন সহবাস করাকে ইসলাম জায়েজ করেছে। তাই সকল প্রকার কুসংস্কার থেকে বিরত থাকুন।

আবার সহবাসের হারাম পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে এনাল সেক্স। মলদ্বার বা পায়ুপথে সঙ্গম করা ইসলামে নিষেধ। যারা বিভিন্ন পর্ণ ভিডিও বা সেক্স ভিডিও দেখে এরকম কুরুচিপূর্ণ কাজের ইচ্ছা পোষণ করেন তারা বিকৃত মানুষিকতার শিকার। এ ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন-

যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পায়খানার রাস্তায় যৌন মিলন করে  আল্লাহ্ তার দিকে (রহমতের দৃষ্টিতে) তাকান না। (ইবন মাজাহ ১৯২৩)।

আবার অন্য হাদিসে এসেছে- 

হযরত খুযাইমাহ্ বিন্ সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেন- إن ال له لا يَتخين من الحق، ثلاث مرات، لا تأثوا . النساء في أذبارهن

"(অর্থাৎ) নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সত্য বলতে লজ্জাবোধ করেন না। দয়াল নবী সাঃ উক্ত বাক্যটি তিন বার বলেছেন। অতএব তােমরা মহিলাদের মলদ্বার ব্যবহার করো না"। (ইবনে মাজাহ্ ১৯৫১ ইবনে আবী শাইবাহ্: ১৬৮১০)। 


৯/ সহবাসের ইসলামি শিষ্টাচার

১/ সহবাসের সময় একদম উলঙ্গ না হওয়া

সহবাসে একদম উলঙ্গ হওয়া উচিত না এতে শয়তান খুশি হয়। তাই অন্তত একটি চাদর বা গিলাফ উপরে দিয়ে রাখুন।

২/ সহবাসের পর অযু করা

প্রতিবার সহবাসের পর অযু করে নেওয়া সুন্নত। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন- তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না; ১/ কাফের ব্যক্তির লাশ, ২/ জাফরান ব্যবহারকারী এবং ৩/ অপবিত্র ব্যক্তি যতক্ষণ না সে অজু করে। (আবু দাউদ, হাদিস :৪১৮০)

৩/ সহবাসের পর লজ্জাস্থান ধৌত করা

জীবাণু সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সহবাসের পর পরই লজ্জাস্থান ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন যৌন মিলনের পর প্রস্রাব করা আরামদায়ক  ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এবং লজ্জাস্থান ধৌত করা সুন্নত। এটিও রোগ প্রতিরোধ করে। আম্মাজান হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) যখন নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে ইচ্ছা করতেন তখন তিনি লজ্জাস্থান ধুয়ে সালাতের অজুর মত করে অজু করতেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৮৮)।

৪/ স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে গোসল করা

স্বামী স্ত্রী একসঙ্গে গোসল করা বৈধ। আল্লাহর রাসুল সাঃ এবং আম্মাজান আয়েশা রা: এর  একই পাত্র থেকে একসাথে গোসল করার প্রমাণ পাওয়া যায়। 

আম্মাজান হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন- আমি ও আল্লাহর রাসুল (সা.) দুজনেই একই পাত্র থেকে গোসল করতাম। এমনকি আমি বলতাম যে,  আমার জন্য রাখেন, আমার জন্য রাখেন। আয়েশা (রা.) বলেন, উনারা উভয়ে অপবিত্র অবস্থায় ছিলেন। ( সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩২১ )

৫/ সহবাসে আজলের বিধান কি(হাদিসসহ)

গণহারে আজল করার বিধান ইসলামে নেই এবং নিষিদ্ধ।  তবে ক্ষেত্র বিশেষে একজন দ্বীনদার ডাক্তারের পরামর্শে সাময়িক সময়ের জন্য তা করা যেতে পারে।

৬/ সহবাসে জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যাবস্থা

প্রচলিত পন্থায় জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা ইসলামে হারাম। কেননা আল্লাহর রাসুল সাঃ বেশি সন্তান জন্মদানের ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন।

আরও পড়তে পারেন-

জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে

৭/ সাস্থ্যসম্মত সহবাসের সতর্কতা

সহবাসে তাড়াহুড়ো করা উচিত না। বাচ্ছার বয়স ৩ বছর বা তার অধিক হলে বাচ্ছা বুঝতে পারে এমনভাবে বা  এমন স্থানে সহবাস করা উচিত না। সহবাসের পর যত দ্রুত সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করা উচিত। 

৮/ সহবাসের সময় যা করা যাবে না (হাদিসের আলোকে)

বিকৃতভাবে সহবাস করা, একে অপরের মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়া, মলদ্বারে সহবাস করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।

৯/ কোন পজিশনে সহবাস করলে দ্রুত সন্তান লাভ হয়

এর কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই। তবে অনেকেই মনে করেন চিত হয়ে স্বামী উপরে এবং স্ত্রী নিচে এমন আসনই উত্তম কেননা এতে স্বামী স্ত্রী উভয়েই স্বাচ্ছন্দবোধ করে এবং অধিক আরামদায়ক। 

১০/ গর্ভাবস্থায় সহবাসের নিয়ম কি

গর্ভাবস্থায় সহবাসের কোন বিধিনিষেধ নেই। তবে গর্ভধারণের প্রথম দিকে এবিং প্রসবের পূর্ব মুহুর্তে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। 

১০/ সহবাসের পর কি করা যাবে কি করা যাবে না

সহবাসের পর লজ্জাস্থান ধৌত করত: অযু করে আপনি ঘর আওংসারের যাবতীয় কাজ কর্ম করতে পারেন। এমনকি খাওয়া ধাওয়াও করতে পারেন। মুখে মুখে আল্লাহর জিকির আজকারও করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে। কখনই নামাজ আদায়, কোরআন স্পর্শ করা, মসজিদে অবস্থান করা, কাবা ঘর তাওয়াফ করা ইত্যাদি হারাম। গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে পবিত্রতা অর্জন করা উত্তম। এতে দুনিয়াবি ও আখেরাতের কল্যাণ নিহীত রয়েছে।

১১/ এছাড়াও কেবলামুখি হয়ে সহবাস না করা, সহবাসে সময় অতিরিক্ত কথা না বলা, উল্টোভাবে সহবাস না করা, স্ত্রীকে পরিপূর্ণ তৃপ্তি না দেওয়া পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন না হওয়া এবং ভরাপেটে স্ত্রী সহবাস না করা ইত্যাদি। 

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জেনে বুঝে আমল করার তওফিক দান করুক। আমিন।

এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। এমনসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে এসোজানি ওয়েভসাইটটি ফলো করতে পারেন।

জাযাকাল্লাহ খাইরান।

আরও পড়ুন -


ইসলামে মিলনের নিষিদ্ধ সময় দাড়িয়ে সহবাস করা যাবে কি দীর্ঘ সময় মিলন করার ইসলামিক পদ্ধতি ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় সহবাসের সময় স্ত্রী উপরে থাকলে কি হয় স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম পুরুষ পুরুষ মিলন করলে কি হয় সহবাসের নিষিদ্ধ পদ্ধতি ইসলামে সহবাসের নিয়ম পদফ দাসী হালাল ইসলামে দাসী কারা। অধিক সময় সহবাস করার মন্ত্র ইসলামে গর্ভাবস্থায় সহবাস ইসলামে মাসিকের কতদিন পর সহবাস করা যায় ইসলামে সহবাসের উত্তম সময় কোনটি কোন কোন দিন সহবাস করা ভাল সহবাসের নিরাপদ সময় কোনটি ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ সময় কখন ইসলামে সহবাসের পজিশন ইসলামে স্বামী স্ত্রী ঘুমানোর নিয়ম ঈদের রাতে স্ত্রী সহবাস করা যাবে কি কখন মিলন করলে পুত্র সন্তান হয় কখন সহবাস করলে বাবু হয় কখন সহবাস করলে মেয়েরা বেশি তৃপ্তি পায কি খেলে 30 মিনিট সহবাস করা যায় কিভাবে সহবাস করলে সন্তান হয় কিভাবে স্ত্রীকে উত্তেজিত করা যায় গর্ভবতী না হওয়ার উপায় গর্ভাবস্থায় কনডম ব্যবহার দিনে কতবার মিলন করা যায় দীর্ঘ সময় মিলন করার পদ্ধতি প্রথম মিলনে ব্যথা প্রথম মিলনে রক্তক্ষরন প্রথম মিলনের নিয়ম প্রথম সহবাসের নিয়ম প্রেগনেন্সির প্রথম তিন মাস বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার। বিভিন্ন আসনের ছবি বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক ভোরে সহবাসের উপকারিতা মাসিক কত দিন হয় মাসিকের কত দিন পর ডিম্বপাত হয় মাসিকের সময় সহবাস করলে কি গর্ভবতী হয় মিলন করার নিয়ম মিলনের নিয়ম রাতে সহবাস লজ্জাস্থানে মুখ  সন্তান না হওয়ার পদ্ধতি সহবাস করার ইসলামিক পদ্ধতি, সহবাস করার উপায়, সহবাস করার দোয়া সহবাস করার বিভিন্ন পদ্ধতি, সহবাস করার সঠিক সময় কোনটি সহবাসের উপকারিতা ও অপকারিতা, সহবাসের কতদিন পর সন্তান হয় সহবাসের পর কি খাওয়া যায়, সহবাসের পর যা খাবেন, স্ত্রী যদি স্বামীর উপরে উঠে করে, স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধ সময়, স্বামী স্ত্রী সহবাস করার সময় কিছু নিয়ম কানুন, স্বামীকে আদর করার পদ্ধতি

AKMA

A Simple Man. Admin and Author of Esojani.com

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথেই থাকবেন, ইন শা আল্লাহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন