স্যাকারিন কি
স্যাকারিন হলো চিনির একটি সাপ্লিমেন্ট তথা প্রথম সিনথেটিক মিষ্টি, যা চিনির চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি মিষ্টি। এটি একটি কেমিক্যাল প্রোডাক্ট। ল্যাবরেটরিতে তৈরী বলে এর মধ্যে এমন কোন জৈব পদার্থ নেই যা ফ্যাট তৈরি করতে পারে। ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে তরল এই বিকল্প চিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মতে এক কেজি ওজনের দেহাংশের জন্য ৫ মিলিগ্রামের বেশি স্যাকারিন না খাওয়াই ভালো। প্রাথমিকভাবে ওষুধের অপ্রীতিকর স্বাদ গোপন করতে ওষুধ শিল্পে এটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এটিতে কোনও ক্যালোরি নেই যা অতিরিক্ত ওজন এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পারে। স্যাকারিন সোডিয়ামের একটি সম্পূর্ণ গন্ধহীন সাদা স্ফটিক।
স্যাকারিনের উৎস
১৮৭৯ সালের কথা। জার্মানিতে প্রফেসর রেমসেন এবং রসায়নবিদ ফালবার্গ একটি গবেষণা করছিলেন। গবেষ্ণার শেষে তারা তাদের হাত ধোয়া ভুলে গিয়েছিলেন এবং তাদের আঙ্গুলগুলিতে স্বাদযুক্ত মিষ্টি স্বাদযুক্ত পদার্থ লক্ষ্য করেছিল। যা থেকেই আবিস্কৃত হয় স্যাকারিন।
প্রফেসর রেমসেন এবং রসায়নবিদ ফালবার্গ
প্রফেসর রেমসেন এবং রসায়নবিদ ফালবার্গ
স্যাকারিনের ব্যবহার
বর্তমানে চিনির বদলে নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে স্যাকারিন। যেমনঃ-
- চিউইং গাম
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পণ্য,
- দুগ্ধজাত
- মিষ্টান্ন এবং বেকারি পণ্য।
- কোমল পানীয় ইত্যাদি।
স্যাকারিনের চা/কফি
ডায়বেটিস
রোগীদের অনেকেই চা বা কফিতে স্যাকারিন খান। ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্যাকারিনের ব্যবহার। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণায়
দেখা গেছে স্যাকারিন খেলে রক্তে চিনির পরিমাণ না বাড়লেও, অনেকদিন স্যাকারিন খেলে ডায়বেটিস আরো বেড়ে যেতে পারে।আর তাই কৃত্রিম উপায়ে
তৈরি স্যাকারিন মুখে মিষ্টির যোগান দিলেও এটি হতে পারে আপনার
স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
মনে রাখবেন ডায়বেটিস
রোগীদের রক্তে যদি চিনির পরিমাণ একদম ঠিক থাকে, তাহলে চিনি পুরোপুরি বাদ
দেয়ার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে দিনে পঞ্চাশ গ্রাম বা তিন চামচ চিনি খাওয়া যেতে পারে। তবে সর্বোত্তম হলো যদি রোগী চিনি সরাসরি না খেয়ে বিভিন্ন খাবার
অর্থাৎফাইবারযুক্ত খাবারের সাথে তা মিশিয়ে খান।
স্যাকারিনের অন্যান্য ব্যবহার
স্যাকারিন খাদ্য শিল্পে ভাল ব্যবহার হয়, যেহেতু এই মিষ্টি শরীর থেকে প্রায় অপরিবর্তিতভাবে পুরোপুরি নিষ্কাশিত হয়। যেমনঃ-
এটি ডায়াবেটিসযুক্ত রোগিরা ব্যবহার করেন।
মারাত্মক হিমশীতল এবং তাপ চিকিত্সার অধীনে মিষ্টি বজায় রাখতে তার স্থিতিশীলতার কারণে এই খুব সস্তা খাদ্য পরিপূরকটি গুরুত্ত্বের সাথে আমাদের জীবনে প্রবেশ করেছে।
এটি খাদ্যতালিকা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
E954 পাওয়া যায় চিউইং গাম, বিভিন্ন লেবু জল, সিরাপ, বেকড সামগ্রীতে, ডাবের পানিতে, শাকসবজি এবং ফলের মধ্যে, বিশেষত কার্বনেটেড পানীয়তে।
সোডিয়াম স্যাকারিনেট কিছু ওষুধ এবং বিভিন্ন প্রসাধনী অংশেও ব্যবহৃত হয়।
স্যাকারিনের উপকারিতা
পরিপূরক E954 মোটেও উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত নয়।
এটি ডায়েটিংয়ের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত।
ওজন বাড়ার ঝুঁকি হ্রাস করে।
নিয়মিত চিনির পরিবর্তে চা বা কফিতে ব্যবহার করা যায়।
sobar sotorko howa ucit
উত্তরমুছুনজানা দরকার
উত্তরমুছুনjana cilo na
উত্তরমুছুন