আমরা, চোখ মেললেই যে আকাশ দেখি, তা কি সত্যিই আকাশ নাকি মেঘমালা? নাকি সূর্যালোকের নীল বিচ্ছুরণ? আর যদি তাই হয় তবে আকাশ কি? আবার, কোরআনে স্পষ্টতই সাত আসমানের বর্ণনা পাওয়া যায়। সে আবার কী? কী তাদের নাম ও গঠন? কোথায় কীভাবে আছে এসব আসমান? বর্তমানের আধুনিক বিজ্ঞান তার কতটুকু প্রমাণ পেয়েছে? কিংবা আদৌ পেয়েছে কি না, এসব ব্যাপার নিয়েই আজ জানার চেষ্টা করব। জানতে হলে লেখাটি ধৈর্য্য সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
প্রথম মহাশুন্য ও প্রথম মহাকাশ |
কোরআনের বর্ণনায় সাত আসমান
বাংলায় আকাশ বা আসমান বলতে বাংলা ও ফারসি ভাষার দুটো শব্দকেই বুঝি৷, যাকে আরবিতে বলা হয় ছামাউন। সাত আসমানকে কোরআনে বলা হয়েছে ছাবাআ ছামায়াতি। ইসলাম ধর্মের পবিত্রগ্রন্থ আল কোরআনে পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তা( আল্লাহ) বলেন-
“তিনিই সেই সত্ত্বা(আল্লাহ) যিনি সৃষ্টি করেছেন, যা কিছু যমীনে রয়েচে সেই সব, অতপর তিনি মনোযোগ দিয়েছেন আকাশের দিকে। বস্তুত তিনি তৈরী করেছেন সাত আসমান। আল্লাহ সর্ববিষয়ে অবহিত”। (সূরা বাকারাহ:২৯)
মহান আল্লাহ রাব্ব্বুল আলামিন মহাপবিত্র কুরআন মাজিদে বলেন-
"অতঃপর তিনি(আল্লাহ) আকাশের দিকে মনোনিবেশ করলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ। তারপর, তিনি আকাশ এবং পৃথিবীকে বললেন- তোমরা উভয়ে আস, ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়। তারা বলল- আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর, তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করত প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি(আল্লাহ) নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা(তারকারাজি) দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। আর এটা মহাপরাক্রমশালী এবং সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা"। (সূরা হা-মীম আয়াত-১১-১২)
অপরদিকে আল্লাহ রাব্ব্বুল আলামিন সূরা নূহ - এর ১৫,১৬ আয়াতে ঘোষণা করেন-
"তোমরা কি খেয়াল কর না যে, আল্লাহ কিভাবে সপ্ত আকাশ স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তারপর সেখানে চাঁদকে রেখেছেন আলোকরূপে আর সূর্যকে রেখেছেন প্রদীপরূপে"।
আবার সূরা আস-সাফফাত-এ মহান আল্লাহ রাব্ব্বুল আলামিন বলেন- "নিশ্চয়ই আমি নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজির দ্বারা সুশোভিত করেছি"।
একথা থেকে এটি প্রতীয়মান হয় যে, মহান সৃষ্টিকর্তা সাত আসমান সৃষ্টি কিরেছেন এবং নিকটবর্তী আকাশকে তারকারাজি অর্থাৎ অসংখ্য চন্দ্র-সূর্য নক্ষত্ররাজি দ্বারা সাজিয়েছেন। এবং এব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নাই।
সাত আসমানের নাম
কোরআনের বর্ণনা অনুযায়ী সৃষ্টিকর্তা(আল্লাহ) স্তরে স্তরে সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন। মুশক্বাতুল ক্বুলুব কিতাবে সাত আসমানের নামকরণ করা হয়েছে এভাবে-
- প্রথম আসমানঃ রকীয়াহ্।
- দ্বিতীয় আসমানঃ ফায়দূম বা মাঊ'ন।
- তৃতীয় আসমানঃ মালাকুত বা হারিয়ূন।
- চতুর্থ আসমানঃ যাহিরাহ।
- পঞ্চম আসমানঃ মুযাইনা বা মুসাহহারা।
- ষষ্ঠ আসমানঃ খালিসাহ।
- সপ্তম আসমানঃ লাবিয়্যাহ বা দামিয়াহ্'।
সাত আসমান কীসের তৈরি
মহা পরাক্রমশালী আল্লাহ সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীও সেই পরিমাণে, এসবের মধ্যে তাঁর আদেশ নিদর্শন অবতীর্ণ হয়, যাতে মানুষ জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।
সাত আসমান কীসের তৈরি তা সুনিশ্চিতভাবে ধারণা পাওয়া যায় না। তবে "মুশাক্বাতুল ক্বুলুব" নামক কিতাবে তা বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে-
(১) প্রথম আসমান বা 'রকীয়াহ্' দুধের চেয়েও অধিক সাদা।"
(২) দ্বিতীয় আসমান বা 'ফায়দূম
বা মাঊ'ন' লৌহ দ্বারা নির্মিত। তা থেকে আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়।"
(৩) তৃতীয় আসমান বা 'মালাকুত
বা হারিয়ূন' তামার নির্মিত।"
(৪) চতুর্থ আসমান বা 'যাহিরাহ' চোখের সামনে আঁধার সৃষ্টিকারী সাদা রৌপ্য দ্বারা নির্মিত।
(৫) পঞ্চম আসমান বা 'মুযাইনা
বা মুসাহহারা' লৌহিত স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত।
(৬) ষষ্ঠ আসমান বা 'খালিসাহ' আলোকিত মুক্তা দ্বারা নির্মিত।
(৭) সপ্তম আসমান বা 'লাবিয়্যাহ বা দামিয়াহ্' লাল ইয়াকুত দ্বারা নির্মিত এবং এর মধ্যেই 'বাইতুল মা'মুর' অবস্থিত।
সূত্রঃ "মুশাক্বাতুল ক্বুলুব" (পৃষ্ঠাঃ ৯৯)
সাত আসমান সৃষ্টির রহস্য কি
সৃষ্টির রহস্য একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তিনি এগুলোকে তাঁর সৃষ্টির নিদর্শন হিসেবেই অভিহিত করেছেন। যেকোন সৃষ্টি থেকেই আল্লাহর জাত ও সিফাতের পরিচয় পাওয়া যায়। এবিষয়ে হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন- "তোমরা স্রষ্টাকে নয় সৃষ্টিকে নিয়ে চিন্তা কর"
সাত আসমানের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা
সাত আকাশের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় যাওয়ার আগেই কিছু বিষয় ক্লেয়ার করা দরকার। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এখন আমরা বিশ্ব থেকে আকাশে সীমাবদ্ধ নই। আমরা পৌঁছে গেছি মহাবিশ্ব থেকে মহাকাশে। চোখ মেললেই যে আকাশ দেখি সেটি আকাশ নয়। এটি সূর্যালোকের নীল বিচ্ছুরণ যার নিচে মেঘেরা ভেসে বেড়ায়। বস্তুত আকাশ বা মহাকাশের কোন নিজস্ব বর্ণ নেই। অথচ আমাদের আকাশ নীল। আমরা খালি চোখে যা দেখি তা মোটেও আকাশ বা আসমান নয় এটি মহাশূন্য। যেখানে ভেসে বেড়াচ্ছে সৃষ্টিকর্তার অসংখ্য সৃষ্টি। এই প্রথম মহাশুন্যে কি আছে তা আবিস্কার ও অনুসন্ধান করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের মহাবিজ্ঞানিদের।
অথচ কোরআনের ভাষ্যমতে প্রথম মহাশুন্যের পর রয়েছে প্রথম মহাকাশ। তারপর দ্বিতীয় মহাশুন্য এবং তারপর দ্বিতীয় মহাকশ। এভাবে বিশাল একটা একটা মহাশুন্যের পর একটা একটা মহাকাশ। এভাবে সপ্তম মহাকাশ বা আসমান। প্রথমটির তুলনায় দ্বিতীয়টি লক্ষ লক্ষ কোটিগুণ বড় ও বিশাল!!! যাহোক বিজ্ঞানিদের জ্ঞানে প্রথম মহাশুন্যই মহাকশ বা The Space বলে বিবেচিত।
এবার আসা যাক মহাবিশ্ব ও মহাকাশের কথায়। মহাকাশ মহাবিশ্ব অসিম। বিজ্ঞান যা যা আবিস্কার করেছে বা যা কিছুর সন্ধান দিতে সক্ষম হয়েছে তার প্রত্যেকটি মহাকাশ বা মহা বিশ্বের এক একটি উপাদান মাত্র। উদাহরণ দিতে গেলে বলতে হয়-
ধরুন আপনি যেখানে বসে পড়ছেন সেটি পৃথিবী নামক গ্রহের একটি অতিক্ষুদ্র অংশ। যার তুলনায় পৃথিবী কত বড়, চিন্তা করতে পারেন??!! যার মাত্র ২৯ ভাগেই রয়েছে দুইশতাধিক দেশ, পাহাড় বনভুমি মরুভুমি, মালভুমি, সমতলভুমি। বাকি ৭১ ভাগে রয়েছে পানি আর পানি। এই পৃথিবীকে আলো দেওয়া ছোট্ট সূর্যের দিকে যখন তাখান তখন কি ভাবতে পারেন সূর্য কত বড়??? অথচ বিজ্ঞান বলছে সূর্য পৃথিবীর তুলনায় ১৩ লক্ষ গুণ বড়। পৃথিবী থেকে যার দূরত্ব হলো ১৪৯.৭৭ মিলিয়ন কিলোমিটার বা প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার। আবার সূর্য কেবল একটি মাত্র স্টার বা তারা। যাকে কেন্দ্র করে ঘুরছে পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতিরমত গ্রহগুলো এবং তাদের উপগ্রহগুলো।
সূর্যের পর পৃথিবীর নিকটতম তারা হলো প্রক্সিমা সেন্টেরাই, তারপর আলফা সেন্টেরাই এ, আলফা সেন্টেরাই বি এমন করে ইটা ক্যারিনা, প্যাটেলজুস এর মত অসংখ্য তারকারাজি। অথচ প্যাটেলজুস সূর্যের তুলনায় ৩৩ কোটি বড়!! এরকম কোটি কোটি তারকা নিয়ে আমাদের গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে গঠিত। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সির নাম এণ্ড্রোমেডা। যেখানে আলোর গতি প্রতিসেকেণ্ডে ১ লক্ষ ৮৬ হাজার মাইল, আবার আলো এক বছরে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে বলে আলোকবর্ষ, সেখানে আলোর গতিতে গেলে আমাদের গ্যালাক্সি থেকে সবচেয়ে কাছের গ্যালাক্সি এণ্ড্রোমেডায় যেতে সময় লাগে ২.৫ মিলিয়ন ২৫ লক্ষ আলোকবর্ষ। প্রথম মহাশুন্যে এরকম কতগুলো গ্যালাক্সি বা ছায়াপথ এবং কৃষ্ণগহ্বর অথবা সূর্যের মত আরো কোন তারাকে কেন্দ্র করে আরো কোন বলয় রয়েছে কি না সে ব্যাপারে বিজ্ঞান আমাদের পরিস্কার ধারণা দিতে পারে না।
কিন্তু বিজ্ঞানের এত উন্নতি সাধনের পরও কেন বিজ্ঞান ব্যার্থ???
কারন- বিজ্ঞান বলছে
আমরা চার মাত্রার জগতের বস্তু দেখতে পাই। এই চারটি মাত্রা হল, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা এবং সময়। প্রথম মহাশুন্যে যে যে বস্তু আমরা দেখতে পাই তার সবই এই মাত্রা দিয়ে গটিত। এর বাইরেও প্রথম মহাশুন্যের অনেক কিছু আমরা দেখতে পারি না। কোন কোন ক্ষেত্রে অনুভব করতে পারি। আধুনিক বিজ্ঞানের স্ট্রিং এর তত্ত্ব অনুযায়ী আরও ছয়টি মাত্রা আছে। তবে বিজ্ঞানের এই শাখাগুলোর বেশিরভাগ তথ্যই অনুমান নির্ভর।
আবার, আমরা অনেকেই ডার্কমেটার বা মহাকাশের অদৃশ্য শক্তির উপস্থিতি সম্পর্কে জানি। সম্প্রতি, মহাকাশের বিজ্ঞানীরা ছয় মাত্রার ডার্কমেটারের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন। ডার্কমেটার দেখা যায়না। কিন্তু এটি এমন এক শক্তি, যা মহাবিশ্বের সকল ছায়াপথগুলোকে ধরে রেখেছে বা ঝুলিয়ে রেখেছে। ডার্কমেটার এক ধরনের অদ্ভুত শক্তি। সাধারনত, সকল বস্তুই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কিন্তু, ডার্কমেটার কখনও সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না। ডার্কমেটার দেখাও যায়না, ডার্কমেটার দিয়ে কোন কিছুকে আঘাতও করা যায়না কিন্তু, ডার্কমেটারের আকর্ষন করার শক্তি আছে। এদের মাত্রা ভিন্ন, তাই এদের আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা। আর এসবই পাওয়া যায় প্রথম মহাশুন্যে।
কোরআন ও বিজ্ঞান
প্রশ্ন হলো কোরআন বলছে সাতটি মহাশুন্য নিয়ে সাতটি মহাকাশ কিন্তু বিজ্ঞান তার অস্তিত্ব খুজে পাচ্ছে না। এর কারণ কি? এর কারণ হলো- মাল্টিভার্স।
সাত আসমান একটি আরেকটির উপর জড়িয়ে আছে এবং আল্লাহ বলেছেন প্রত্যেকটি আসমানেই তার আদেশ ও নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে। একই স্থানে অনেকগুলো মাত্রা থাকলে সেখানেই মাল্টিভার্সের ধারনা সৃষ্টি হয়। আর অনেকগুলো মহাবিশ্ব যখন সমান্তরালে কল্পনা করা হয় তখন তাকে প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বা সমান্তরাল মহাবিশ্ব বলে।
কোরআনের সূরা আত তাকবীর এর ১৫ ও ১৬ নাম্বার আয়াতে মহাকাশের অদৃশ্য বস্তু সম্পর্কে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা(আল্লাহ) উল্লেখ করেন-
শপথ সেসব তারকা পুঞ্জের যা (চলতে চলতে) গা ঢাকা দেয়। (আবার) যা (মাঝে মাঝে) অদৃশ্য হয়ে যায়।
আবার একই কারণে কোরআনে বর্ণিত ফেরেশতা ও জীনদেরকেও দেখতে পারিনা, তাদেরকেও ধরতে পারিনা তাদের সাথে সংঘর্ষও করতে পারিনা।
এব্যাপারে পবিত্র কোরআনে ৫৫তম সূরা আর রহমানের ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ পাক ঘোষণা করেন-
দ্বায়ীত্বের ভারে ভারাক্রান্ত (ওহে মানুষ ও জীনসকল), (এর মাঝেও কিন্তু) আমি তোমাদের (হিসাব নেয়ার) জন্যে অচিরেই সময়কে(একটি মাত্রা) বের করে নেব।
জ্বিন ও ফেরেশতাদের ওজন আছে সামান্য হলেও কিন্তু তা আছে অন্য মাত্রায় আর এজন্য আমরা তাদের দেখতে পাইনা, সংঘর্ষও করতে পারিনা। কিন্তু আমরা তাদের মাত্রার মধ্যাকর্ষন অনুভব করতে পারি এবং তারাও আমাদের মাত্রার মধ্যাকর্ষন অনুভব করতে পারে। ভিন্ন ভিন্ন মাত্রার ভর ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো আলাদা আলাদা। তবে মধ্যাকর্ষনই কেবল বিভিন্ন মাত্রার মধ্যে কমন বা সাধারন বস্তু।
আমাদের দৃশ্যমান কাছের আকাশের উপর আরও ছয়টি আকাশ আছে। জীনরা যেমন অদৃশ্য ঠিক তেমনি ঐ ছয়টি আকাশের বস্তুগুলোও অদৃশ্য। আমরা তাদের দেখতে পারিনা, সংঘর্ষও করতে পারিনা কিন্তু তাদের মধ্যাকর্ষন বল অনুভব করতে পারি।
সর্বোপরি মহান মালিক তার বান্দাকে যতটুকু জ্ঞান দেন, মানুষ ঠিক ততটুকুই জানতে পারে। তিনি(আল্লাহ) যখন যাকে যেভাবে জ্ঞান দান করার ইচ্ছা পোষণ করেন ঠিক তখন সেভাবেই তাকে জ্ঞান দান করেন। যদি কখনো সৃষ্টিকর্তার অপার কৃপা হয়, ভবিষ্যতে নতুন মাত্রা, ডার্ক মেটার কিংবা মাল্টিভার্সের মতো হাজারো জিনিস আবিস্কারের মাধ্যমে উত্তর আধুনিক বিজ্ঞান কোরআনে বর্ণিত বিষয়গুলো উন্মোচন করলে করতেও পারে। সে পর্যন্ত আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তার উপরই ভরসা করতে হবে। কেননা একমাত্র তিনিই মানুষের জ্ঞানের পরিধি নির্ধারণ করেন।
লেখাটি আপনার কেমন লেগেছে তা কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দিতে পারেন। অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার মাধ্যমে তাদেরকেও জানার সুযোগ করে দিবেন।
ধন্যবাদ।।
গবেষণা ও সংকলনে সার্বিক সহযোগিতা করেছন সমসাময়িক লেখক ও গবেষক প্রখ্যাত পদার্থবিদ মোঃ ফেরদৌস রাব্বানি (মাসুম)