ফেসবুক মার্কেটিং কি?
এর প্রধান কারণ হলো ফেসবুকে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট শ্রেনীর মানুষদের খুব সহজেই টার্গেট করা যায়। আজকে আমি আপনাদের সাথে ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করবো তো বন্ধুরা দেরি না করে চলুন শুরু করি। |
কেনো ফেসবুক মার্কেটিং করবেন?
পৃথিবীর সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক। ফেসবুকে প্রতিদিন প্রচুর মানুষ সক্রিয় থাকে। বাংলাদেশেও এর ব্যাতিক্রম নেয়। বাংলাদেশে প্রায় বেশিরভাগ মোবাইল ব্যবহারকারী ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে আপনি আপনার পন্য অনুযায়ী কাস্টমার টার্গেট করতে পারবেন। আপনার পন্যের বহুল প্রচার আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে করতে পারবেন। মুলত একারণেই আপনার ফেসবুক মার্কেটিং করা উচিত।
১. পন্য বাছাই
ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনার পন্য প্রয়োজন। পন্য মোট দুই ধরনের হয়ে থাকে। প্রথমটি হলো অনলাইনে ব্যবহার যোগ্য এবং দ্বিতীয়টি হলো বাস্তব জীবনে ব্যবহার যোগ্য। অনলাইনে ব্যবহার যোগ্য পন্যের কিছু উদাহরণ হলো:- ডোমেইন, হোস্টিং, প্রিমিয়াম থিম ইত্যাদি। অপরদিকে বাস্তব জীবনে ব্যবহার যোগ্য পন্য অসংখ্য যেমন:- টি-শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি ইত্যাদি। এখন আপনি কোন ধরনের পন্য বিক্রি করবেন সেটা আপনার নির্ভর করবে। অনলাইনে ব্যবহার যোগ্য পন্যের ক্ষেত্রে আপনাকে ডেলিভারি চার্জ দেওয়া লাগবে না। সবকিছু অনলাইনে মিটিয়ে নেওয়া যায়। অপরদিকে বাস্তব জীবনে ব্যবহার যোগ্য পন্যের ক্ষেত্রে আলাদা করে ডেলিভারী চার্জ পড়বে এছাড়া আরোও অনেক খরচ করতে হবে। আপনি আপনার পুজির উপর নির্ভর কিভাবে পন্য বাছাই করবেন তা নিচে দেওয়া হলো।
২. এরপর অডিয়েন্স টার্গেট করুন। ফেসবুক সাধারণত ১৬-২৫ বছরের মানুষ বেশি থাকে। অতএব যুবকদের টার্গেট করলে আপনি বেশি কাস্টমার পাবেন।
২. ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ
ফেসবুক থেকে আমরা যে আইডি ব্যবহার করি তার একটি সীমাবদ্ধতা আছে। আমরা ফেসবুক আইডিতে মাত্র ৫০০০ জন ফ্রেন্ড তৈরি করতে পারি। অপরদিকে ফেসবুক পেজে আনলিমিটেড ফলোয়ার আনা যায়। আবার গ্রুপে আনলিমিটেড মেম্বার যুক্ত করতে পারবেন। ফেসবুক আইডি দিয়ে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় না তাই আমাদের আরেকটি মাধ্যম প্রয়োজন যার মাধ্যমে আমরা অনেক লোকের কাছে পন্য পৌঁছাতে পারবো। ফেসবুকের প্রোফাইলের মতো আমরা পেজ দিয়ে এটি করতে পারি। পেজের মাধ্যমে প্রচুর মানুষের কাছে আপনি আপনার পন্য পৌছে দিতে পারবেন। আবার ফেসবুক বিজ্ঞাপন দিতে হলে অবশ্যই আপনাকে পেজ তৈরী করা লাগবে। অপরদিকে ফেসবুক গ্রুপ একটি বহুমুখী কমিউনিটি। এখানে সবাই পোস্ট করতে পারে এবং নিজের মতামত ব্যক্ত করতে পারে। একটি ফেসবুক গ্রুপে সাধারণত প্রচুর লোক সক্রিয় থাকে। ফেসবুক পেজের ক্ষেত্রে আপনার পন্য সব ফলোয়ারদের কাছে পৌঁছাবে কি না এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। তবে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে পন্য অধিকাংশ গ্রুপ মেম্বারদের কাছে চলে যায়।
৪. ফেসবুক বিজ্ঞাপন
আপনার পন্য বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অবশ্যই পন্যের প্রচার প্রয়োজন। ফেসবুকের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে খুব সহজেই একটি নির্দিষ্ট শ্রেনীর অডিয়েন্স টার্গেট করে পন্যের প্রচার করা যায়। তবে এর জন্য আপনার টাকা প্রয়োজন। ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপন দিতে পারলে কম খরচে প্রচুর কাস্টমার পাওয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে ক্যাপশনে বা পোস্টে কিছু হাস্যকর বাক্য ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুক মার্কেটিং এর কিছু কিলার টিপস
এবার আমরা এমন কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো অনুসরন করলে আপনি অনেক ভালো ফল পাবেন। চলুন টিপস গুলো দেখে নিই:-
১. যদি নতুন ব্যবসা শুরু করেন তাহলে বেশি বেশি ডিসকাউন্ট অফার দিন। এতে কাস্টমার অনেক বেড়ে যাবে।
২. কন্টেন্ট অবশ্যই সুন্দর করবেন এবং পোস্ট করার সময় কোনো প্রকার কঠিন ভাষা ব্যবহার করবেন না।
৩. নিয়মিত পোস্ট বুস্ট করুন। পোস্ট বুস্ট করার সময় অডিয়েন্স আপনার পন্য অনুযায়ী টার্গেট করবেন এবং যে সময়ে অডিয়েন্স সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে সেই সময়ে পোস্ট বুস্ট করবেন।
৪. কাস্টমারের সাথে সুন্দর আচরন করুন। কাস্টমার যে প্রশ্নই করুক না কেনো, কখনো বিরক্ত হবেন না।