ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন করবেন? খুটিনাটি সবকিছ

বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি বিষয়  হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। পন্য বা সেবা প্রচার করার ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক কার্যকর। তাই আজ আমি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করবো:-

১. ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
২. ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো করবেন?
৩. ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?
৪. ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত কেমন?
....আরোও অনেক কিছু
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কেন করবেন? খুটিনাটি সবকিছু Cpa marketing Seo marketing Online marketing Freelancing Digital earning Facebook marketing Branding



১/ ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো পন্য বা সেবা প্রচার করার উপায় সমূহ হলো  ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বিভিন্ন ধরনের পন্য তৈরি হচ্ছে। যেহেতু বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের পন্য তৈরী হচ্ছে এবং কাস্টমারদের চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে তাই অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যারা এসব পন্য বিক্রয় করে। এত এত প্রতিষ্টানের মাঝে টিকে থাকার জন্য আমাদের ডিজিটাল মার্কেটিং করা উচিত।

২/ ডিজিটাল মার্কেটিং কেনো করবেন?

কয়েক বছর আগে মানুষ টিভি, ব্যানার, বিলিবোর্ড ইত্যাদি মাধ্যমে মানুষ মার্কেটিং করতো। এখনও এসবের সাহায্যে মার্কেটিং করা হয়। এগুলোকে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং বলা হয়। কিন্তু ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর কিছু সীমাবদ্ধতা ছিলো। নিচে সেগুলো দেওয়া হলো।

১. ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সবথেকে বড় সমস্যা হলো অ্যানালাইটিকস পাবেন না। অর্থাৎ কত জন আপনার বিজ্ঞাপন দেখলো তা জানতে পারবেন না।

২. ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং করতে গেলে সাধারণত প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় যা নতুন কোম্পানির জন্য সম্ভব নয়।

৩. রি-টার্গেট অর্থাৎ আপনার পন্য একবার ব্যবহার করেছে এমন কাস্টমারদের সহজে টার্গেট করতে পারবেন না।

ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং করলে এছাড়া আরোও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অপরদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং করলে আপনি বিভিন্ন দিক থেকে সুবিধা পাবেন। নিচে সেগুলো দেওয়া হলো।

১. সবথেকে বড় সুবিধা হলো আপনার বিজ্ঞাপন কয়জন দেখছে এবং কয়জন কিনছে সবকিছু আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

২. তুলনামূলক ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করলে কম খরচ করতে হয় যা নতুন কোম্পানির জন্য ভালো দিক।

৩. আপনার পন্য যারা কিনেছে তাদের পুনরায় টার্গেট করতে পারবেন এবং নতুন পন্য সম্পর্কে অবগত করতে পারবেন।


৩/ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত কেমন?

সোজাসুজি বলতে গেলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত উজ্জ্বল। বর্তমানে মানুষ প্রযুক্তি নির্ভর। তাছাড়া অনেক পন্যও প্রযুক্তি নির্ভর। এমনকি বর্তমান অনলাইনে ব্যবহার করা যায় এমন পন্য তৈরী হয়েছে। অতএব বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেনীর পন্য সৃষ্টি হচ্ছে। মুলত এ কারণেই বর্তমানে সব স্থানে প্রচুর প্রতিযোগীতা। ফলে প্রায় সব কোম্পানি তাদের অস্তিত্ব টিকে রাখার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর শরণাপন্ন হচ্ছে। এমনকি বর্তমানে পুরনো কোম্পানি যেগুলো ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং করতো তারাও ডিজিটাল মার্কেটিং করতে বাধ্য হচ্ছে। একটি পন্যের বহুল প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প বর্তমানে নেয়। মুলত এজন্যই এটি দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। অতএব উক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যত উজ্জ্বল।

৪/ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কেমন খরচ হবে?

বেশি বাজেট না থাকলেও আপনি এটি করতে পারবেন। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে কোনো টাকা খরচ না করেই ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়। যেমন: এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ( ফ্রি মার্কেটিং), কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি টাকা খরচ না করেও করা যায়। তবে এগুলো তুলনামূলক কঠিন তাই কয়েক সময় পেইড অ্যাডভার্টাইজিং করার প্রয়োজন হয়। পেইড অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক গুলোতে খুব একটা বেশি খরচ করতে হয় না। তবে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর থেকে অনেক কম খরচ হবে এটা ধরে নিতে পারেন।

৫/ ডিজিটাল মার্কেটিং কতো প্রকার?

ডিজিটাল মার্কেটিং বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। নিচে জনপ্রিয় এবং প্রধান প্রকারভেদ গুলো উল্লেখ করা হলো।

১. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ( এসইও )
২. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
৩. আফিলিয়েট মার্কেটিং
৪. অনলাইন পেইড বিজ্ঞাপন
৫. কন্টেন্ট মার্কেটিং
৬. এসএমএস মার্কেটিং
৭. ইমেইল মার্কেটিং

১. সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ( এসইও )
যেসব উপায় ব্যবহার করে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবসাইটের কোনো পেজকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম র‌্যাংক করানো হয় সেসব পদ্ধতি গুলোকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বা সংক্ষেপে এসইও বলে। বর্তমানে আমরা কোনো তথ্য জানার জন্য সাধারণত একটি সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করি। সার্চ রেজাল্টে আমরা প্রচুর ওয়েবসাইট পায়। যারা ওয়েবসাইট তৈরী করে তারা এসব ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করে। অসংখ্য ওয়েবসাইট থেকে সার্চ ইঞ্জিন সবথেকে সেরা ফলাফলটি দেখানোর চেষ্টা করে। এভাবেই সার্চ ইঞ্জিন কাজ করে। বর্তমানে এসব সার্চ ইঞ্জিন যেহেতু অনেক মানুষ ব্যবহার করে তাই একটি ওয়েবসাইটের মালিক কিছু পদ্ধতি ব্যবহার করে যদি তার ওয়েবসাইটকে র‌্যাংক করাতে পারে তাহলে প্রচুর ভিজিটর পাবে। অতএব সে অনায়াসে তার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবে। আপনিও চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের দ্বারা সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করিয়ে ভিজিটর আনতে পারবেন।

২. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য মার্কেটিং করাই হলো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। বর্তমানে আমরা বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে পরিচিত। এসব সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচুর মানুষ সক্রিয় থাকে। তাই এখানে ভিজিটর এবং কাস্টমার পাওয়া অনেক সহজ।আপনি দুই ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে মার্কেটিং করতে পারবেন।

ক. ফ্রি মার্কেটিং: বিভিন্ন পদ্ধতি খাটিয়ে ফ্রিতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করা সম্ভব। যেমন আপনি ফেসবুকে পেজ, গ্রুপ অথবা প্রোফাইলের মাধ্যমে ফ্রিতে মার্কেটিং করতে পারবেন। এছাড়া টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকের মত প্লাটফর্মে জনপ্রিয় হয়ে ফ্রিতে মার্কেটিং করতে পারবেন।

খ. পেইড মার্কেটিং: আপনি অনেক সময় ফেসবুকের নিউজ ফিড স্ক্রল করলে বিজ্ঞাপন দেখতে পারবেন। প্রায় সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে এরকম বিজ্ঞাপন দেখা যায়। আসলে এসব বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আলাদা ভাবে খরচ করতে হয়। সোজা ভাবে বলতে গেলে যেসব মার্কেটিং করতে টাকা লাগে সেগুলোকে পেইড মার্কেটিং বলে।

৩. অনলাইন পেইড বিজ্ঞাপন
আমরা অনেকে অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখতে পায়। যেমন ইউটিউবে কোনো ভিডিও চলাকালীন মাঝে মধ্যে অ্যাড আসে। এসব বিজ্ঞাপন কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের পন্য প্রচার করার জন্য দেয়। যেহেতু কেও ফ্রিতে বিজ্ঞাপন দিতে দেবে না তাই তাকে কিছু টাকা দেওয়া লাগে। যেমন আপনি যদি গুগলে বিজ্ঞাপন দেন তাহলে গুগল কর্তৃপক্ষকে কিছু টাকা দেওয়া লাগবে এবং আপনি যত টাকা দিয়েছেন তার উপর ভিত্তি করে তারা বিজ্ঞাপন দেখাবে। আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি কাস্টমার পেতে চান তাহলে অনলাইনে পেইড বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। অনলাইন পেইড বিজ্ঞাপনের বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে। নিচে তা নিয়ে আলোচনা করা হলো।

ক. PPC ( Pay per click )
এই বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আপনার সাইটে যতবার ক্লিক পড়বে তার উপর ভিত্তি করে আপনাকে তত টাকা কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। বর্তমানে প্রায় সব ধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক PPC নিয়ম অনুসরন করে।

খ. CPA ( Cost per action )
এই ধরনের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আপনার কাজ সম্পূর্ণ হলেই তারপর আপনার থেকে টাকা নেওয়া হবে। ধরুন আপনি একটি CPA নেটওয়ার্ক সাইটে পোস্ট করলেন যে আপনার ফেসবুক পেজে ১০০০ ফলোয়ার এনে দিতে পারলে আপনি তাকে ১০০ টাকা দিবেন। এখন কেও যদি আপনার এই টাস্ক সম্পুর্ন করতে পারে তাহলে উক্ত CPA নেটওয়ার্ক আপনার একাউন্ট থেকে কেটে নিয়ে তাকে টাকা দিয়ে দেবে।

গ. ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন
এই বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে আপনি একটি ব্যানার বা ভিডিও কর্তৃপক্ষকে দিবেন এবং পোস্টারের মতো করে তারা আপনার বিজ্ঞাপন দেখাবে। এক্ষেত্রে শুধু একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যানার বা ভিডিওটি তুলে ধরা হবে। অর্থাৎ আপনাকে PPC বা CPA সিস্টেমে টাকা দেওয়া লাগবে না।

৪. আফিলিয়েট মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে অন্যতম এবং অভিজ্ঞদের পছন্দের একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটিজি হলো আফিলিয়েট মার্কেটিং। পন্যের উপর কমিশন দিয়ে অন্যের দ্বারা পন্য প্রচার করার পদ্ধতিকে আফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। আপনি যদি আপনার পন্যের জন্য প্রচুর গ্রাহক পেতে চান তাহলে অবশ্যই আফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন। বর্তমানে জনপ্রিয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেমন: অ্যামাজন, আলিবাবা, দারাজ ইত্যাদির জনপ্রিয়তার পিছনে আফিলিয়েট মার্কেটিং একটি গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করেছে।

৫. কন্টেন্ট মার্কেটিং
আর্টিকেল, ফটো, ভিডিও ইত্যাদি সবকিছুই হলো কন্টেন্ট এবং কন্টেন্ট ব্যবহার করে মার্কেটিং করার উপায় সমুহকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলে। আমরা অনেকেই ব্লগ লিখতে পছন্দ করি। যদি সেই ব্লগে প্রচুর ভিজিটর আসে তাহলে আপনি তা ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারবেন। আবার ইউটিউবে আমরা অনেকেই ভিডিও তৈরী করে আপলোড দিই। এসব ভিডিওতে অনেক ভিজিটর আসলেও মার্কেটিং করা যায়। আপনি যদি একটি আর্টিকেল রাইটার অথবা ইউটিউবে বা ফেসবুকের একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন তাহলে খুব সহজেই কন্টেন্ট মার্কেটিং করতে পারবেন।

৬. এসএমএস মার্কেটিং
এসএমএস বা খুদে বার্তা প্রেরণ করে মার্কেটিং করার উপায় হলো এসএমএস মার্কেটিং। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী প্রায় ৯২% মানুষ তাদের মোবাইলে প্রাপ্ত টেক্সট মেসেজ গুলো পড়ে। এসএমএস পড়ার জন্য যেহেতু কোনো ডাটা খরচ হয় না তাই সবাই নির্বিঘ্নে এসএমএস পড়তে পারে। এসএমএস মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে প্রচুর মোবাইল নাম্বার জোগাড় করতে হবে। এরপর একটি এসএমএস প্যানেল কিনতে হবে এবং সেখান থেকে আপনি এসএমএস পাঠাতে পারবেন। নাম্বার জোগাড় করার জন্য ওয়েবসাইটে সাইন আপ ফর্ম বা অন্য কোনো মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন।

৭. ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করার উপায় সমুহকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। যদিও ইমেইল মার্কেটিং এসএমএস মার্কেটিং এর মতো কার্যকর নয় তবে ভালোভাবে করতে পারলে অনেক কাস্টমার পাওয়া সম্ভব। তাছাড়া ইমেইলের আরেকটি সুবিধা হলো এতে অনেক টেক্সট, ইমেজ, ভিডিও, ফাইল ইত্যাদি পাঠানো যায়। তবে ইমেইল দেখতে হলে ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজন হয় আবার কখনো কখনো নোটিফিকেশন আসে না তাই অনেকে ইমেইল দেখেনা। ইমেইল মার্কেটিং করতে হলে প্রথমেই ইমেইল সংগ্রহ করতে হবে। ইমেইল সংগ্রহ করার জন্য ওয়েবসাইটের সাইন আপ ফর্ম অথবা ইমেইল সাবস্ক্রিপশন ব্যবহার করা যেতে পারে। কম ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে সাধারণত কোনো খরচ করা লাগে না তবে বেশি ইমেইল পাঠাতে হলে কিছুটা খরচ করতে হয়।

***ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর

আমাদের অনেকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করে। সব প্রশ্ন গুলোর মধ্যে আমরা প্রয়োজনীয় কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে উল্লেখ করলাম।

১. ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে কি ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব?

উত্তর: বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সবথেকে জনপ্রিয় এবং আলোচিত কাজ হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। অতএব আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে নিঃসন্দেহে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন?

২. ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবো?

উত্তর: বর্তমানে অনেক বাংলা কোর্স আছে যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখানো হয়। এছাড়া ইউটিউব ভিডিও দেখে এবং ব্লগ পড়তে পারেন

৩. ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে কোনটি সবথেকে বেশি কার্যকর?

উত্তর: আমার মতে এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, আফিলিয়েট মার্কেটিং এবং এসএমএস মার্কেটিং সবথেকে কার্যকরী।

৪. ফেসবুক মার্কেটিং এবং ডিজিটাল মার্কেটিং কি আলাদা?

উত্তর: হ্যা, ফেসবুক মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি শাখা মাত্র।

৫. ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইট প্রয়োজন?

উত্তর: ওয়েবসাইট আপনাকে অনেক দিক থেকে সাহায্য করবে। এসইও করে ভিজিটর আনতে চাইলে ওয়েবসাইটের বিকল্প নেই। তাছাড়া পন্য বা সেবা ক্রয় বিক্রয় করতে ওয়েবসাইট প্রচুর সাহায্য করে।

এছাড়া আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা এ পর্যন্তই। যদি আমাদের আজকের আলোচনা ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের মাঝে অবশ্যই শেয়ার করবেন।


ধন্যবাদ সবাইকে।

AKMA

A Simple Man. Admin and Author of Esojani.com

1 মন্তব্যসমূহ

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথেই থাকবেন, ইন শা আল্লাহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন