বন্যার সময় দূষিত পানি কি কি উপায়ে বিশুদ্ধ করা যায়

দূষিত পানি বলতে সেই পানিকে বুঝায় যে পানিতে ময়লা-আবর্জনা, ধূলি, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত থাকে। দূষিত পানি শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকির। তাই পানি ব্যবহারের পূর্বে তা বিশুদ্ধ করার প্রয়োজন হয়। বন্যার সময় পানি বিশুদ্ধ করা আরো বেশি দরকারি হয়ে পড়ে। কারব বন্যার সময় পানি খুব সহজেই দূষিত হয়ে পড়ে।

বন্যার সময় দূষিত পানি কি কি উপায়ে বিশুদ্ধ করা যায় পানি বিশুদ্ধকরণ পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট হ্যালোজেন ট্যাবলেট দূষিত পানি bonnar pan বিশুদ্ধ পানি পান
বন্যা কবলিত এলাকা

দূষিত পানি পরিশোধনের উপায়ঃ পানি বিভিন্ন উপায়ে পরিশোধ্ন করা যায়। এক্ষেত্রে কম পানি এনং বেশি পরিমান পানির জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। নিম্নে এ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো-

কম পানির ক্ষেত্রে

১/ স্ফুটন পদ্ধতিঃ পানিকে ফুটিইয়ে ব্যবহার করা যায়। এক্ষেত্রে পানিকে ১৫-২০ মিনিট যাবত ফুটালে পানি বিশুদ্ধ হয়ে যাবে।

২/ ক্লোরিনেশন পদ্ধতিঃ এক্ষেত্রে পানিতে ক্লোরিন দ্রবন যেমন ব্লিচিং পাউডার যোগ করা হয়। এতে পানি জীবানুমুক্ত হয়।

বেশি পানির ক্ষেত্রে

পানির পরিনাব বেশি হলে নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে পাবি বিশহদ্দগ করা যায়। এক্ষেত্রে পানি বিশ্যদ্ধ করতে চারটি ধাপ অনি=জুসরব করা হয়। যথাঃ 

১/ তলায়ন

২/ জমাটবন্ধন

৩/ছাঁকন

৪/ জীবানুমুক্তকরন

বন্যার সময় দূষিত পানি কি কি উপায়ে বিশুদ্ধ করা যায় পানি বিশুদ্ধকরণ পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট হ্যালোজেন ট্যাবলেট দূষিত পানি bonnar pan বিশুদ্ধ পানি পান
বন্যা দুর্গত জনজীবন

 

১/ তলায়নঃ তলায়ন প্রক্রিয়ায় পানিকে একটি ট্যাংকে ভর্তি করে স্থির অবস্থায় রেখেজদেয়া হয়। এ সময় পানিতে থাকা ভারী বস্তুসমূহ মধ্যাকর্ষণের প্রভাবে ট্যাংকের তলদেশে জমা হয়। পরবর্তিতে পরিস্কার পানি উপর থেকে সংগ্রহ করা হয়।

২/ জমাটবন্ধনঃ তলায়ন ট্যাঙ্ক থেকে সংগৃহীত পানি জমাটবন্ধন ট্যাংক-এ নেওয়া হয় এ সময় পানিতে থাকা সূক্ষ বালি, কাদা ও কলয়েড ভেজাল্গুলো জমাট বাঁধে। ট্যাংকে আয়রন বা আলুমিনিয়াম লবণ ব্যবহার করা হয় যাতে ভেজাল কণাগুলো দ্রুত জমাট বাঁধতে পারে, পানিতে আলুমিনুয়ামা সালফেট যোগ করলে হাইড্রক্সাইড গঠিত হয় এবনহ ভেজালের সাথে যুক্ত হয়ে বড় আকারে পরিণত হয় ও নিচে জমা হয়।

পানি ক্ষারিয় হলে ম্যাগনেসিয়াম বাইকার্বোনেট যোগ করা হয়।পানি ক্ষারীয় না হলে সোডিয়াম কার্বোনেট যোগ করা হয়। আর পানি অম্লিয় বা এসিডিক হলে সোডিয়াম অলুমিনিয়েট যোগ করতে হয়।

 ৩/ ছাঁকন বা পরিস্রাবণঃ ল্পানির উপযোগীকরনে এটি একটি বিশেষ ধাপ। এ প্রক্রিয়ায় পানিকে সুবিধাজনক ছিদ্রবিশিষ্ট পদার্থের মধ্য দিয়ে চালন আকরে পানিতে থাকা ভাস্মান পদার্থ দূর করা হয়। এক্ষেত্রে বালি বা পাথর ব্যবহার কর হয়।

৪/ জীবাণুমুক্ত করণঃ পানিতে থাকা বিভিন্ন অনুজীব রাসায়নিক পদার্থ প্রভৃতি দূরীভুত করার জন্য জীবাণুনাশক ব্যবহার করে পানিকে জীবাণুমুক্ত করা হয়।

                                                                                 <<ধন্যবাদ>>

আরো পড়ুন-

পানিকে বিশুদ্ধ করার যত উপায় | বাঁচতে হলে জানতে হবে 

পানি বিশুদ্ধকরণ বলতে কী বুঝ, পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেটের নাম কি, পানি বিশুদ্ধকরণ সম্পূর্ণ, পানি বিশুদ্ধকরণ কী, পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট এর দাম, হ্যালোজেন ট্যাবলেট কি, বিশুদ্ধ পানি কাকে বলে, পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট এর নাম কি, বন্যার পানি বিশুদ্ধ করার উপায়, বন্যার পানি খবর, বন্যার পানি কা গান, bonna pani, bonnar pani, দূষিত পানি কাকে বলে, দূষিত পানি পান করলে কি হয়, দূষিত পানি পান করলে কোন রোগ হয়, দূষিত পানির নির্দেশক, দূষিত পানি পান করলে কী কী সমস্যা হয়, দূষিত পানি পান করলে আমার কী কী সমস্যা হতে পারে, দূষিত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে তোমার কি কি সমস্যা হতে পারে বিশ্লেষণ কর, দূষিত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে কি কি সমস্যা হতে পারে

AKMA

A Simple Man. Admin and Author of Esojani.com

2 মন্তব্যসমূহ

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সাথেই থাকবেন, ইন শা আল্লাহ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
নবীনতর পূর্বতন