২/ ত্বীন/ ডুমুর । প্রতিদিন ১টি করে। পবিত্র কোরানে ১ বার এসেছে।
মহা পবিত্র আল কোরানের ৯৫ তম সুরার নামকরন করা হয়েছে এই ত্বিন এর নামানুসারে। এই সুরার প্রথমেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ত্বিন এর সফথ করেছেন। আজ আমরা সেই ত্বীন এর উপকারিতা সম্পর্কে জানব।
আভিধানিকভাবে ত্বীন শব্দের শাব্দিক অর্থ আঞ্জির বা ডুমুর যার বৈজ্ঞনিক নাম Ficus racemosa
এর আদি নিবাস মধ্যপ্রাচ্যে। আফগানিস্তান থেকে পর্তূগাল পর্যন্ত এই ফলের বিস্তার লক্ষ্য করা যায়। channel i এর কৃষি সাংবাদিক প্রখ্যাত ব্যাক্তিত্ত্ব শায়েক সিরাজ জানান বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানএ চাষ হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের এই সুস্বাদু ফল, যার সুচনা করেছিলেন গাজিপুরের বাসিন্দা ...............।।
পুষ্টিগুণঃ
ডুমুর অত্যান্ত পুষ্টিকর একটি ফল। বিশেষ করে এনার্জি, ক্যালসিয়াম এবং আঁশে ভরপুর। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিষ্ট্রেশন বা এফডিএ-এর তথ্য মতে পুষ্টি উপাদান হচ্ছে প্রতি ১০০ গ্রামে জলীয় অংশ ৮৮ দশমিক ১ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৬।, হজমযোগ্য আঁশ ২.২, খাদ্যশক্তি ৩৭ গ্রাম, আমিষ ১.৩ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, শর্কর ৭.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১.১ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ১৬২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১.০.০৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.০৫ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন বি, রিবোফ্লাবিন, নিয়াসিন, থায়োমিন, প্যান্টোথেনিক এসিড, ফোলেট, আয়রন,ম্যাগনেসিয়াম,ফসফরাস,পটাসিয়ামের মত উপকারি সব খনিজ উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন।
ত্বীন/ডুমুরের উপকারিতা
ত্বিন বা ডুমুরের উপকারিতা বর্ণ্না করে শেষ করা যাবে না। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তথ্যমতে এর প্রধান প্রধান দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি মাত্র। আশা করি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেল্টি পড়ে সম্যক ধারণা পাবেন।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে :
ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। নিয়মিত ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস না থাকলেও আমরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকি। খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গিয়ে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। তাই ডায়েটে রাখুন ডুমুর ফল। এর পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ ডুমুর ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আপনার খাদ্যতালিকায় ডুমুর রাখুন। ডুমুর বিদ্যমান পেকটিন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
বর্তমানে এক গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, মাসিক বন্ধ হয়ার পরবর্তী পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে ডুমুর সাহায্য করে। আঁশ সমৃদ্ধ ডুমুর নিয়মিত খেলে ৩৪% মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম দেখা দিয়েছে।
ডায়াবেটিসের সমস্যায় উপকারী
ডায়াবেটিসে ডুমুর যেমন উপকারী, তেমনি ডুমুরের পাতাও উপকারী। ডায়াবেটিসে অনেক সময় রোগীকে ইনসুলিন ইনজেকশন নিতে হয়। গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, নিয়মিত ডুমুর খেলে ইনসুলিন গ্রহণের পরিমাণ কম করতে সাহায্য করে।
হাড় বৃদ্ধিতে সহায়ক
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। অতিরিক্ত হাই-সল্ট ডায়েট মেনে চললে ইউরিনের মধ্য দিয়ে অনেক ক্যালসিয়াম বেরিয়ে যায়। এই ক্যালসিয়াম লস প্রতিরোধ করতে ডুমুরের পটাশিয়াম সাহায্য করে। এভাবে ডুমুর হাড় বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া ডুমুর হাড়ের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।
হার্ট ভালো রাখে
গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, ডুমুর ও ডুমুরের পাতা মানুষের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ফলে হার্ট ভালো থাকে। এছাড়াও ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাংগানিজ। যা বার্ধক্যজনিত কারণের নানা অসুখ প্রতিরোধ করে থাকে। তাই খাদ্যতালিকায় রাখুন ডুমুর নিশ্চিত করুন ।
পেটের সমস্যা দূর করে
এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশজাতীয় পদার্থ। ফলে পেটের পীড়ায় জন্য ডুমুর খুব ভালো কাজ করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের মতো সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে।
বুকের দুধ বৃদ্ধি করে
ডুমুর ভাঙলে বা কাটলে সাদা রস বের হয় যাকে বলা হয় ল্যাটেক্স । এই ল্যাটেক্স ই ডুমুরের সব শক্তি ও উপকারীতার আসল উৎস বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।আগে এই রস বা ল্যাটেক্স বন্ধ্যত্বের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য উদ্দীপক হিসাবেও ব্যবহৃত হত ।
ত্বক উজ্জ্বল করে
ডুমুর খেলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হয়ে থাকে। এছাড়াও ত্বকে ব্রণের দাগ কিংবা যেকোনো দাগ মেশাতে ডুমুর বেশ কার্যকর। তাই যারা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি কিংবা ত্বকের দাগ নিয়ে চিন্তিত তারা কিন্তু ডুমুর খেতে পারেন।চর্মরোগের জন্য অনেক উপকারী
ডুমুর বিভিন্নরকম চর্মরোগের জন্য উপকারী । আর তাই ডুমুরের ছাল সিদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের বিবর্ণতা এবং ক্ষত খুব সহজে সেরে যায়।এছাড়াও ত্বকের ছত্রাক জনিত যেকোনো সমস্যয় ডুমুরের সিদ্ধ পানি বেশ উপকারী।হজমশক্তি বাড়ায়
ডূমুরের ছাল থেতলিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে এর সাথে পুদিনার রস মিশিয়ে খেলে আমাদের হজমশক্তি অনেক বেড়ে যায় এবং সাথে সাথে আমাদের পাকস্থলীর ক্ষমতাও অনেকগুন বৃদ্ধি পায়। ডুমুর অনেক উপকারী হলেও এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে আমাদের যকৃত, পাকস্থলী এবং দাঁতের ক্ষতি হতে পারে। তাই বেশি মাত্রায় না খেয়ে অল্প করে খেলে সহজলভ্য এই ফলটি আমাদের অনেক উপকারে আসে।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
অতিরিক্ত মেদ নিয়ে যাঁরা ্টেনশন করেন, তাঁদের জন্য ডুমুর উপকারী। এর আঁশ খাদ্য হজম ঠিক রাখে এবং শরীরে অহেতুক মেদ জমতে দেয় না।হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখে
ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফেরাস বা আয়রন থাকে। আর এই আয়রন হ্রাস পেলে আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যায়, যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক। ডুমুর শরীরে আয়রনের পরিমাণকে স্বাভাবিক রাখে।ঋতুস্রাব নিয়ন্ত্রণ করে
মেয়েদের মাসিকের সময় অতিরিক্ত স্রাব হলে কচি ডুমুরের রস এবং সামান্য মধু(Honey) মিশিয়ে খেলে উপকার হয়। দুধ ও চিনির সঙ্গে ডুমুরের রস খেলেও অধিক ঋতুস্রাব(Menstruation) নিয়ন্ত্রণে আসে।আমাশয় সাড়ায়
আমাশয় হলে তিন দিন কচি ডুমুরের পাতার সাথে আতপ চাল চিবিয়ে খেলে ভালো হয়। সাদা ও রক্ত আমাশয় হলে, ডুমুরএর ছালের রস ২ বেলা ২ চামচ মধু(Honey) মিশিয়ে খেলে ভালো হয়।ডায়বেটিসের মহৌষধ
- ডুমুরের শিকরের রস ডায়াবেটিস(Diabetes) রোগের জন্য খুবই উপকারী।য়তুন ফল গাছ, জউতুন ফল আর জলপাই কি এক, জয়তুন ফলের বাংলা নাম, জয়তুন তেল কোথায় পাওয়া যায়, জয়তুন তেল চুলের যত্নে, তিন ফল ইংরেজি, তিন ফল খাওয়ার নিয়ম, তিন ফল গাছ, তিন ও জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম, তিন ফল দাম, ত্বীন ফল চাষ, তিন ফল ছবি, জয়তুন ফলের উপকারিতা
Maa sha Allah
উত্তরমুছুনThanks again for all your work......
উত্তরমুছুন.
.
.
.
.
.
.
.
.
Alif paser basa