লকডাউন হচ্ছে এমন কিছু বিধি-নিষেধ, যা একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট কারনে আরোপ করা হয়। এতে জরুরি সেবা অর্থাৎ জনমানবের নিত্যপ্র্যোজনীয় সেবাসমূহ চালু থাকে। আবার সরকার বা কর্তৃপক্ষ চাইলে এইসব সেবাকে কমিয়ে বাড়িয়ে নির্ধারন করতে পারেন। যেমন কোন বিশেষ সেবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জরুরি ঘোষণা করতে পারেন। ঠিক তেমনি কোন সেবাকে জরুরি সেবার তালিকা থেকে বাদ দিতে পারেন।
লকডাউনে যেসব জিনিষ বা সেবা চালু থাকে--
১/ জরুরি খাদ্য সরবরাহ
২/ জরুরি ওষুধ সরবরাহ
৩/ যেকোন কাঁচামাল সরবরাহ
৪/ নিত্যপণ্য বা ভোগ্যসামগ্রি
৫/ জরুরি রপ্তানি সেবা
৬/ সংবাদমাধ্যম
৭/ ইমার্জেন্সি মেডিকেল সেবা বা Ambulance সেবা
৮/ জরুরি বিমান চলাচল
৯/ আদালত
১০/ এনবি আর কার্যক্রম
১১/ গ্যাস, পানি ও বিদ্যুত সেবা
১২/ জরুরি মোবাইল পরিসেবা
১৩/ স্থল্বন্দর
১৪/ অন্যান্য জরুরি সেবাসমূহ ইত্যাদি।
অপরদিকে শাটডাউন হচ্ছে এমন এক বিশেষ ব্যবস্থা যেখানে কার্যত অচল করা দেওয়া হয় সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। কেউ কেউ এটাকে জরুরি অবস্থা জারির সাথে তুলনা করে থাকেন। এমতাবস্থায় দেশের অর্থনীতি ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে দিশেহারা হয়ে পরে। কম আয়ের তথা নিম্ন আয়ের মনুষের ভোগান্তি অনেকহারে বেড়ে যায়। দ্রব্যমূল্য বাড়ার সাথে সাথে নানা অযুহাতে নিত্যপণ্যের সরবারাহ কমে যায়। বাজারে কৃত্রিম স্বল্পতা তৈরি হয়। অনেক অসাধু ব্যবসায়ী তখন সুযোগে মানুষকে জিম্মি করে অধিক মুনাফা অর্জনের চেষ্টা করে। শাটডাউনে যেসব সেবা বন্ধ থাকতে পারে-
১/ যেকোন প্রকার অফিস আদালত
২/ দোকানপাট ও শফিংমল
৩/ সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
৪/ সবধরনের গাড়ী চলাচল
৫/ বিমানবন্দর
৬/ স্থলবন্দর
৭/ সকল প্রকার নৌ-পরিবহন
৮/ এমন অনেক জরুরি সেবা।
শাটডাউনে যা চালু থাকবে-
১/ সরকারি বেসরকারি হাসপাতালসমূহ
২/ মসজিদ-মন্দির বা উপাসনালয়।
৩/ সরকারের অতিগুরুত্ত্বপূর্ণ দপ্তরসমূহ
৪/ সীমিত পরিসরে কাঁচাবাজার ও নিত্যপণ্যের দোকান
৫/ জরুরি অক্সিজেন ও ওষুধ সরবরাহ
৬/ সরকার ঘোষিত অন্যান্য সেবাসমূহ।
লকডাউন এর সর্বশেষ অবস্থা, করোনা ভাইরাস, করোনা টিকা, করোনা আপডেট, করোনার খবর, করোনার লক্ষন, কোভিড-১৯ টিকা, করোনা চিকিতসা, করোনা নিউজ।